Posts

সর্বপ্রথম মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করেন একজন বাঙালি: রাধানাথ শিকদার

Image
1831 সালের কথা। ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেল জর্জ এভারেস্ট একজন ত্রিকোণোমিতিতে পারদর্শী গণিতজ্ঞের খোঁজ করছিলেন। তৎকালীন হিন্দু কলেজের গণিতের অধ্যক্ষ লিটলার তাকে তার প্রিয় ছাত্র রাধানাথ শিকদারের কথা বলেন। মাত্র 19 বছর বয়সে রাধানাথ Great Trigonometric Survey তে  যোগদান করেন, যাদের কাজ ছিল ভারতে বিভিন্ন উচু পর্বত শৃঙ্গ গুলির উচ্চতা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিমাপ করা ও সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি তা নির্ধারণ করা । কিছুদিন বাদে রাধানাথ কে দেরাদুনে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি geodetic survey  তে পারদর্শিতা অর্জন করেন। গতানুগতিক পদ্ধতি ছাড়াও তিনি নিজে গণনার কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শৃঙ্গ গুলি পর্যবেক্ষণ করার পর survey team উত্তর ভারতে এসে পৌঁছায়। হিমালয়ের বিভিন্ন শৃঙ্গ গুলি সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য survey team নেপালে যেতে চায়। কিন্তু  নেপাল থেকে অনুমতি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ভারতের তরাই অঞ্চল থেকে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। ইতিমধ্যে সার্ভেয়ার জেনারেল জর্জ এভারেস্ট অবসর নেওয়ায় তাঁর জায়গায় আসেন অ‍্যন্ড্রু স্কট ওয়া। 1851 সালে তিনি রাধনাথকে পর্যবেক্ষণে...

শুনুন ধর্মাবতার: নাথুরাম গডসে

Image
গান্ধীজিকে হত্যা করেছিলেন নাথুরাম গডসে। তিনি দেশদ্রোহী ছিলেন না দেশপ্রেমিক সে বিষয়ে আমি বিতর্ক বাড়াতে চাইনা। তবে একজন শিক্ষিত যুবক হয়েও কেন জাতির জনককে হত্যা করেছিলেন নাথুরাম? কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের সপক্ষেে কি সওয়াল করেছিলেন তিনি? তা হয়ত আমাদের অনেকেরই অজানা। কারণ আদালতে উপস্থিিত যে সমস্ত সাংবাদিকেরাাা নাথুরামের সেই জবানবন্দী  নোট করেছিলেন, তাদের সেসব নোটপত্র ছিরে ফেলেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারেরা । পরবর্তিকালে নাথুরামের জবানবন্দী ও তার উদ্দেশ্য নিয়ে বই লেখেন নাথুরাম এর ভাই গোপাল গডসে, যার বাংলা অনুবাদ করেন নীরদবরণ হাজরা 'শুনুন ধর্মাবতার' নামে। কিন্তু সরকার সে বই নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় এটি খোলা বাজারে দুষ্প্রাপ্য। প্রায় তিন বছর অনুসন্ধান চালানোর পর একটি পুরনো বইয়ের দোকানে আমি পেয়ে যাই বইটির একটা কপি। তাই সকলের সুবিধার্থে থাকে বইটির পিডিএফ বানিয়ে আপলোড করছি। উৎসাহী ব্যাক্তিরা বই টি নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি নিরাশ হতে হবে না। এবং মনের অনেক ভ্রান্ত ধারণাও দূর হবে। বইটি ডাউনলোড করুন নিচের লিঙ্ক থেকে:

‍রিটায়ার্ড

Image
#রিটায়ার্ড লেখায়: অয়ন দাস অবসর... কথাটি এখন আমার জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ। আজ থেকে প্রায় দু বছর আগেকার কথা বিদায় সম্বর্ধনা অজস্র উপহার ও কিছু সহকর্মীর চোখের জলের মাঝে অবসর গ্রহণ করেছিলাম আমি। কেমন ছিল আমার সেই অনুভূতি, সে শুধু জানি আমি আর অন্তর্যামী। মনে পড়ে পরদিন সকালে, অভ্যাসবশত আমি কলেজ আসার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। আমার আদরের নাতনি আমায় বলেছিল "দাদু, আজও তোমার কোলে যাওয়া নেই তুমি তো এখন রিটায়ার্ড।" বুকটা মুচড়ে উঠেছিল আমার... সত্যিই তো, আমি আজ রিটায়ার্ড। প্রায় ত্রিশ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা কম হয়নি। কমেনি শিক্ষাদানের উৎসাহ ও। একজন শিক্ষকের জীবনে এটাই তো সেরা সময়। তবুও আমার গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বার্ধক্যের তকমা। বলা হয়েছিল, "হেথা হতে যাও পুরাতন এখানে নূতনের খেলা আরম্ভ হইয়াছে।" ভাবতে খুব খারাপ লেগেছিল আর কখনো ক্লাসরুমে ছাত্র দের মাঝে গিয়ে দাঁড়াবো না.... তিল তিল করে গড়ে তোলা এই physics lab আর কখনো প্রাক্টিক্যাল ক্লাস করাবোনা সেখানে। অফ পিরিয়ড এ কোনো ছাত্র এসে বলবে না ...

সিদ্দি: ভারতে বসবাসকারী এক অচেনা অজানা আফ্রিকান উপজাতি

Image
কেমন লাগবে যদি ভারতেই দেখা হয় কোন আফ্রিকান উপজাতি মানুষের সঙ্গে? অবাক হবেন নিশ্চয়? কিন্তু সেই মানুষটি যদি হিন্দি বা অন্য কোন দেশীয় ভাষায় কথা বলেন এবং নিজেকে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দেন? তাহলে সেটা আপনার কাছে অবিশ্বাস্য লাগবে। কিন্তু গুজরাট ও কর্নাটকে আছে এমন কিছু গ্রাম যেখানে বসবাস করেন আফ্রিকার উপজাতির মানুষেরা। এ যেন ভারতের মাঝেই এক ছোট্ট আফ্রিকা। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই ',সিদ্দি' উপজাতির মানুষদের সম্পর্কে।    সিদ্দি দের মূল বাসস্থান প্রধানত পূর্ব আফ্রিকা মূলত আবিসিনিয়ায় যার বর্তমান নাম Ethiopia। 600 থেকে 700 খ্রিস্টাব্দে যখন আরবরা এদেশ আক্রমণ করেন তখন আরবদের সৈন্য এবং ক্রীতদাস হিসেবেই সিদ্দি দের প্রথম এদেশে আগমন। এর পরেও কিছু সিদ্দি এসেছেন ইংরেজ ও পর্তুগীজদের ক্রীতদাস হিসেবে। তারপর 18 থেকে 19 শতকে দাসত্ব অবসান হলে এরা পুনরায় দাসত্বের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য জঙ্গলে পালিয়ে যান এবং সেখানে নিজেদের বসতি গড়ে তোলেন। ভারতের গুজরাট ও কর্নাটকের এইরকমই প্রায় 25,000 সিদ্দি বসবাস করেন। তবে ভারতে সিদ্দি দের সামাজিক অবস্থান মোটেও সুখকর নয়। চেহারায় আফ্রিকান ছাপ স...

একটি ফুলের মৃত্যু

Image
একটি ফুলের মৃত্যু #অয়ন_দাস আমি এক বনফুল অনাদৃত, অবহেলিত, নিপিড়িত তোমাদের বাড়ির বাগানে আস্তাকুড়েতেই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। কেউ কখনো যত্ন করেনি আমায়, বাগানে লাগানো শখের ফুল গাছ গুলির মত। বরঞ্চ আমি বহুবার হয়েছি পদদলিত। কতবার পাশ দিয়ে চলে গেছো কিন্তু একবারও ফিরে তাকিয়ে কৌতূহল দেখাও নি। কে আমি, কি-ই বা নাম, জানতে চাও নি কখনো। সময়ের সাথে সাথে একদিন আমি পরিপূর্ণতা লাভ করলাম। প্রকৃতির নিয়মে এল রূপ, যৌবন। তখন তোমাদের নজর পড়লো আমার উপর। প্রথম বার আমার তারিফ করলে তুমি। প্রজাপতি, ভ্রমরেরা যখন আমার মধু লুঠ করত ফুলের সাথে প্রজাপতির প্রেম নিয়ে কবিতা লিখেছো তুমি। কিন্তু কখনো ভাবনি আমার ইচ্ছের কথা। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার হয়ে এসেছে চিরকাল, তেমনি আমার নীরব প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে মধু লুট করেছে ভ্রমরেরা। আর তুমি সেটা উপভোগ করেছে। তোমার লেখনীতে ঘটিয়েছে বিপ্লব। কিন্তু একটা নিরীহ নিষ্পাপ ফুল যে কত বার ধর্ষিতা হল সেটা ভেবে দেখো নি তোমরা কেউই। তারপর একদিন, যখন আমার রূপ-রস-গন্ধ সবই ফুরালো, একটি শুষ্ক, রুগ্ন ফুলের পাপড়িগুলো কবে যে ঝরে পড়লো খেয়াল রাখলো ন...

স্বপ্ন ভঙ্গ

Image
যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই চোখে পড়ে হাসপাতাল মোড়ের বড় খাবারের দোকান টি। শিশু শ্রমিক আইন নিষিদ্ধ হলেও সেই আইন যে আজও অনেককে শিশু অবস্থায় শ্রমিকের অন্ধকার জীবন থেকে রক্ষা করতে পারেনি, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এখানে যে কেউ দেখতে পারে।      এক শরতের সকাল, আকাশে ঝলমলে রোদ, বাতাসে শিউলির গন্ধ, পুজো আসতে আর দেরি নেই বেশি । মনটা আনন্দে ভরে উঠেছে। এমনই এক দিনে উপস্থিত হলাম দোকানটিতে। খাবারের অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি বছর তেরোর ছেলে খাবার নিয়ে এলো। দোকানে সকালের বেচাকেনা প্রায় শেষ। ভিড় নেই। সুতরাং ছেলেটির সঙ্গে গল্প জুড়ে দিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম জিজ্ঞাসা করলাম- -তোমার নাম কি? -রাহুল। -কোথায় থাকো? -বাজার টার পাশে। - বাবা কি করেন? -আমার তো বাবা নেই? ছেলেটির মুখে বিষাদের ছায়া। 'বাবা নেই' কথাটা শুনে বুকটা মুচড়ে উঠলো। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। শেষে কথা ঘুরিয়ে অন্যান্য কথা জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম। নানা কথায় উঠে এলো তার জীবন কাহিনী। ।     রাহুলের বাবা জুট মিলে কাজ করতেন। সংসারে তিনজন, রাহুল, তার বাবা ও মা। তাই খুব একটা টানাটানি ছিল না। রাহুল...

কিছু ভারতীয় নারীর আকাশ ছোয়ার কাহিনী

Image
প্রত্যেকের মনেই থাকে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। কিন্তু কজনই বা সেটা সফল করতেে পারেন? বিশেয করে তিনি যদি হন একজন মহিলা তবে কাজটা একটু বেশিই কঠিন হয়ে পরে। তবে আমাদের দেশ এ এমন অনেক মহিলা আছেন যারা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে নিজেদের স্বপ্নকে সত্যি করে তুলেছেন, ডানা মেলছেন উন্মুক্ত আকাশে। আসুন জেনে নেই এমনই কয়েকজন ভারতীয় মহিলার কাহিনী- ১) সরলা ঠাকরাল সরলা ঠাকরাল ছিলেন ভারতবর্ষে প্রথম মহিলা পাইলট। ১৯৩৬ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তিনি লাইসেন্স পান এবং একটি জিপসি মথ প্লেন উড়িয়ে নিজের যাত্রা শুরু করেন। ২) দূর্বা ব্যানার্জি দূর্বা ব্যানার্জি হলেন ভারতের প্রথম মহিলা commercial pilot । 1956 সালে তিনি ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স এর পাইলট হন। ৩) হরিতা কউর দেওয়াল হরিতা ক উর দেওয়াল হলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলট। ১৯৯৪ সালের ২য় সেপ্টেম্বর তিনি প্রথম Avro HS 748 প্লেন উড়ান। ৪) অভানি চতুর্বেদি, মোহনা সিং, ভাবনা কান্থ অভানি চতুর্বেদি, মোহনা সিং, ভাবনা কান্থ হলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম মহিলা fighter pilot। ১৮ই জুন ২০১৬তে তারা ভারতীয় বায়ুসেনার যোগদান করেন। ৫...